আবার শার্লক হোমস
অ্যাড্রিয়ান কন্যান ডয়াল ও জন ডিকসন কার
অনুবাদ: অদ্রীশ বর্ধন
সম্পাদনা ও টীকা: সন্তু বাগ
অ্যাড্রিয়ান কন্যান ডয়াল স্যার আর্থার কন্যান ডয়ালের ছোটো ছেলে এবং স্যার আর্থারের সাহিত্য বিষয়ক সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক। বাবা-র নিকট সান্নিধ্যে থেকেছেন, ভিক্টোরিয় যুগের প্রথায় মানুষ হয়েছেন, বাবা-র মতোই অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়। শার্লক হোমসের বীরধর্ম তাঁর মধ্যেও আছে। বাবা যে টেবিলে লিখতেন, সেই টেবিলেই শার্লক হোমসের আরও বারোটা নতুন কাহিনি রচনা করেছেন অ্যাড্রিয়ান। চারপাশে থেকেছে সেই সব বস্তু যাদের সাহায্য নিয়েছিলেন স্যার আর্থার পৃথিবীর সবচেয়ে নামি গোয়েন্দার কীর্তি রচনার সময়ে। শার্লক হোমসের আরও কিছু কীর্তির আভাস স্যার আর্থার রেখে গেছিলেন ৫৬টা ছোটোগল্প আর ৪টে উপন্যাসের মধ্যে। সেই আভাস-সূত্র অবলম্বন করে বারোটি অনবদ্য নতুন কাহিনির আইডিয়া এসেছিল অ্যাড্রিয়ানের মাথায় এবং তিনি সেগুলি লিখেছিলেন স্যার আর্থারের মেজাজে। প্রথম ছ-টি গল্পে ওঁকে সাহায্য করেছিলেন জন ডিকসন কার—আমেরিকার পয়লা সারির গোয়েন্দা কাহিনি লেখক—যিনি ৫৯টা গোয়েন্দা উপন্যাস লিখে জগৎ কাঁপিয়েছিলেন। বারোটি নতুন গল্পের শেষে উদ্ধৃতি তুলে দিয়েছেন অ্যাড্রিয়ান বাবা-র লেখা কাহিনি থেকে। স্যার আর্থার আরও অ্যাডভেঞ্চারের আভাস রেখে গেছিলেন, সময় পেলে হয়তো তা নিয়ে গল্পও লিখতেন—সুযোগ্য পুত্র সেই কাজ সম্পন্ন করেছেন।
বারোটি গল্প যেন গোয়েন্দা-সাহিত্য বারোটি জহরত। বিগত যুগের পরিবেশ, শার্লক মেজাজ আর ঘরানা সুস্পষ্ট প্রতিটি গল্পে। এক ডজন গল্প সমন্বিত বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে। নাম The Exploits of Sherlock Holmes; মূল শার্লক অমনিবাস যাঁরা রেখেছেন বাড়ির লাইব্রেরিতে, এই বইটি তারা অবশ্যই সংগ্রহ করবেন, এমন আশা করা যাচ্ছে।
sumouleesaha2644 (verified owner) –
If you love to read detective books then definitely go for it.