“তবে শুনুন রাজকুমার, সে এক যুগ ছিল। অনেক অনেক বছর আগে, যখন আটলান্টিস প্রবল জলোচ্ছাসে সমুদ্রের নিচে তলিয়ে গেছে, অথচ আর্যরা সারা পৃথিবীতে নতুন নতুন সভ্যতার পত্তন শুরু করে নি, কল্পনার অতীত, আশ্চর্যজনক জ্ঞান আর বৈভবে মোড়া বহু সভ্যতা ও নগরী, নিশীথ আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত নানা দিকে ছড়িয়ে ছিল। নেমেডিয়া, ওফির, ব্রিথুনিয়া, হাইপারবোরিয়া, কালো চুলের সুন্দরীদের জামোরা, যার গগনচুম্বী মিনারগুলোতে রহস্যময় জাদুকর আর অদ্ভুত ঊর্ণনাভদের সহাবস্থান ছিল; মহাবীর সিংহহৃদয়দের বাসভূমী জিঙ্গারা, শেমের দিগন্তবিস্তৃত সবুজ তৃণভূমির সংলগ্ন কথ, অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাধি ক্ষেত্রের স্টাইজিয়া; হাইরকানিয়া, যার অশ্বারোহী যোদ্ধাবাহিনী চোখধাঁধাঁনো ইস্পাত, সোনা আর রেশমের বর্ম পরতো, এমন আরো অনেক দেশ ছিল তখন। কিন্তু সবচেয়ে সমৃদ্ধ, শক্তিশালী দেশ ছিল অ্যাকুলোনিয়া। শাসক, গর্বিত অ্যাকুলোনিয়া। পশ্চিমের সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। এই পটভূমিতে আবির্ভূত হল কোনান। কৃষ্ণ কেশ, তামাটে বরণ, রাগ ও বিষন্নতা মাখা চোখের অধিকারী কোনান। দীর্ঘ তরবারি হাতে এক বর্বর, তষ্কর, লুন্ঠনকারী, বিদ্রোহী, সংহারক, সীমাহীন বিষাদ ও উল্লাসের প্রতিমূর্তি; তার জানু অবধি ফিতেজড়ানো পাদুকার নিচে সকল সিংহাসনকে পদানত করবে বলে সিমেরিয়া থেকে সে এল। “
–— নেমিডিয় উপাখ্যান।
‘অসি ও ইন্দ্রজাল’ ধারার স্রষ্টা রবার্ট ই. হাওয়ার্ডের সুবিখ্যাত সৃষ্টি অদম্য কোনানের অভিযানের কাহিনি আসছে এবারের কলকাতা বইমেলায় ‘মন্তাজ’- এর হাত ধরে। পাওয়া যাবে কল্পবিশ্বের ২০৭ নম্বর স্টলে।
দুর্দান্ত অনুবাদ করেছেন রনিন এবং সায়ক দত্তচৌধুরী।
প্রথম খণ্ডে থাকছে ৮টি রচনা।
প্রচ্ছদ – উজ্জ্বল ঘোষ