কল্পবিজ্ঞান আর কল্পবিশ্বের পাঠকদের সঙ্গে সুমিত বর্ধনের পরিচয় আর নতুন করে দেওয়ার নেই কিছু। অদ্রীশ বর্ধনের এই ভ্রাতুষ্পুত্রের কলমে গত দশকে কল্পবিজ্ঞান আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অর্থতৃষ্ণার মতো প্রথম বাংলা স্টিমপাঙ্ক জনরার ডিটেকটিভ উপন্যাস, বা অসিশপ্তের মতো সামুরাই ঘরানায় লেখা সায়েন্স ফ্যান্টাসি— কোনো নির্দিষ্ট ধরনের লেখায় সুমিতবাবুর কলমকে বাঁধা সম্ভব নয়। নভেলার পাশাপাশি বহুদিন ধরেই তিনি কল্পবিশ্ব, পরবাসিয়া পাঁচালী, বিচিত্রপত্র ও অন্যান্য পত্রিকায় লিখেছেন অনেকগুলি কল্পবিজ্ঞানের ছোটোগল্প। তার মধ্যে থেকে বারোটি সেরা গল্প বেছে নিয়ে তৈরি হল এই বইটি। বইটির প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণের সময় লেখকই পরামর্শ দিলেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ তৈরি করার জন্যে। কল্পবিশ্ব সব সময়েই নতুন ধরনের কাজের জন্যে প্রযুক্তিকে বেছে নিতে আগ্রহী। সেইমতো তিনি মিডজার্নি এআই ব্যবহার করে তৈরি করলেন প্রচ্ছদের জন্যে কয়েকটি ছবি ও অনেকগুলি অলঙ্করণ। শিল্পী উজ্জ্বল ঘোষ সেই ছবিগুলি থেকে তৈরি করেছেন বইয়ের প্রচ্ছদটি। অলঙ্করণগুলিও বাছাই করে দেওয়া হয়েছে বইয়ের ভিতরে। আমাদের জ্ঞাতসারে এটিই প্রথম বাংলা বই যেখানে প্রথাগত অঙ্কনশিল্পীকে ব্যবহার না করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই সমস্ত কাজগুলি করল।
আশা করব কল্পবিজ্ঞানের পাঠকেরা কল্পবিশ্বের অন্যান্য বইয়ের মতো এই বইটিকেও যোগ্য সমাদরসহ গ্রহণ করবেন।