কল্পবিজ্ঞান – হরর উপন্যাস
বাংলা রহস্য সাহিত্যে অদ্রীশ বর্ধন গত পঞ্চাশ বছরে পরিবেশন করে এসেছেন অজস্র রকমারি স্বাদের প্রহেলিকা কাহিনি। আজকে ‘কল্পবিজ্ঞান’ নামটা পরিচিত রহস্য সাহিত্য পিপাসুদের কাছে। কল্পবিজ্ঞান নিয়ে জনপ্রিয় পাক্ষিক প্রতিযোগিতাও আহ্বান করে বেশ কিছু নবীন প্রতিভার সন্ধান পেয়েছে। কিন্তু এই ‘কল্পবিজ্ঞান’ শব্দটা, এই নাম চয়ন, এক শব্দে ইংরেজি সায়েন্স ফিকশনকে বাংলায় ‘কল্পবিজ্ঞান’ বলা, এ কৃতিত্ব তো অদ্রীশ বর্ধনেরই। আজ কল্পবিজ্ঞান নিজের জায়গা করে নিয়েছে বাংলা সাহিত্যে। রহস্য সাহিত্য পিপাসুদের মনের তৃষ্ণা মিটিয়ে চলেছে। কিন্তু গুপ্তবিজ্ঞান নিয়ে কল্পগল্প আজও অনুপস্থিত বাংলা সাহিত্যে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে পা ফেলে এগিয়ে এসে কল্পবিজ্ঞান এখন অকাল্ট সায়েন্স নিয়েও রোমাঞ্চকর লোমহর্ষক শ্বাসরোধী কাহিনি উপস্থাপন করতে যে সক্ষম অতিশয় উর্বর এই বাংলা সাহিত্যে ভূমিতে, অদ্রীশ বর্ধন তাঁর জাদুলেখনী দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছেন একেবারেই নতুন ধরনের এই গুপ্তবিজ্ঞানের কল্পগল্পতে— এমনই এক কাহিনি যার বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তিভূমি আর তথ্য সমাহারকে উড়িয়ে দেওয়া একটু কঠিন। রহস্য কাহিনি পড়তে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ বোধহয় বিরল। কল্পবিজ্ঞান আর গুপ্তবিজ্ঞান নিয়ে লেখা শ্বাসরোধী এমন একটা কাহিনি এই প্রথম বাংলায় নিয়ে এল সেই টানটান উত্তেজনা-শিহরণ, বিজ্ঞানের অনেক অজানা উপাদান, পড়তে বসে শেষ না করে ওঠা যায় না। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কোল্ডফিল্ড টাইমস পত্রিকার ২০০২ সালের শারদীয়া সংখ্যায়। এমন কল্পগল্প রহস্য কাহিনি লেখার মুন্সিয়ানা বর্তমান বাংলা সাহিত্যে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সাহিত্যিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অদ্রীশ বর্ধন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। বচন বিন্যাসে এবং মাকড়সার জালের মতন রহস্যের জাল সৃষ্টি করতে তিনি অননুকরণীয়। পঞ্চাশ বছর ধরে বহুবিচিত্র বিষয় নিয়ে লিখে বাংলা রহস্য সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার পর এখন তিনি নিয়ে এলেন বিচিত্রতর বিষয় অকাল্ট সায়েন্স আর মডার্ন সায়েন্সের সমাহার। তাই এই বইটি বাংলা সাহিত্যের রহস্য শাখায় এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন।